আশির দশকে, সে তার মাতৃভূমিতে যায়
অপরিচিত মানুষ আমার মায়ের হাত ধরতে চায়
সে (মা) বিয়ে করতে চাননি
কিন্তু তাঁর (মা) প্রতি সম্মান না রেখে তাঁর অভিভাবকরা কখনও না করেননি
এবং যখন জার্মানিতে দেওয়ালগুলো মাত্র ধ্বসে পড়তে লাগল
মরক্কো ২০০০ মাইলের প্রতিরক্ষা-দেওয়াল তৈরি করল
সুতরাং সে ভূমধ্যসাগর দিয়ে পালাল
২ রুমের ফ্ল্যাট, ফ্রাঙ্কফুর্ট
সে (মা) তাঁকে (আ) তাঁর সাথে এখানে নিয়ে আসল
এবং সে (আ) উপার্জনের জন্য কিছুই করত না, ভাবত, টাকা তো এমনিই আসে
সে (মা) ভাড়া দেয় এবং হোটেল পরিষ্কার করে
সে (আ) কোন চাকরির সাথেই মানিয়ে নিতে পারছে না
এবং খুব তাড়াতাড়ি এক অন্ধকার জগতে চলে যায়
সেজন্য সে (আ) বাইরে গিয়ে ড্রাগ বিক্রি করে,
যখন চরম গর্ভবতী স্ত্রী বাসায় বসে আছে
নবম মাস এবং সে (আ)- তাঁকে (আ) আর পাওয়া যায় না
আর তাঁর (মা) ব্যাপার- ঋণ এবং উদর- উভয়েই বৃদ্ধি পাচ্ছে
হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়েও কিছু করা যাচ্ছে না
সে (মা) একা, যেন এক ভূতের সাথে বিবাহ হয়েছে
আমি জন্মালাম- মায়ের পরিবার সেখানেই
আর আমার বাবাকে প্রাইভেট গোয়েন্দারা তাড়া করে বেড়াচ্ছে
পরবর্তীতে জানতে পারি তাঁকে (আ) অনেক বছর আগেই নির্বাসিত করা হয়েছে
নাদোরের একটি কারাগারে জেল খাটছেন
মুক্ত হলেন ক্যান্সার রোগকে সঙ্গী করে নিয়ে,
নিজ পরিবারকে পুনরায় দেখার আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে
আবারও আমাদেরকে চাইলেন যেন আমরা তাঁর (আ) সম্পত্তি ছিলাম
তিনি নিজে সরাসরি বলেননি, কেবল তাঁর শালাকে পাঠিয়েছিলেন
হুমকি দিলেন, আমাকে দেখামাত্র অপহরণ করবেন
সেদিন থেকে বাইরে একাকী খেলা আমার জন্য নিষিদ্ধ ছিল
আমি কখনও দেখিনি, শুনিনি, বুঝিনি
কিন্তু সবাই বলে আমি নাকি তাঁরই (আ) প্রতিচ্ছবি
যখন তিনি মারা গেলেন, আমার তেমন কিছুই হয়নি
আমি অনেক জোয়ান ছিলাম এবং সে আমার কাছে সর্বদা মৃতই ছিল
এবং এখন আমি অবাক হই, তোমরা কি করে মৃতের কথা মনে রাখ?
আমি অনেক কিছু করি কিন্তু তাঁর (আ) সংস্করণ হয়ে উঠতে পারিনি কখনও
যেভাবেই হোক সময় চলে যায়- তাঁর (আ) স্মৃতিচিহ্ন রয়ে যায়
আহমেদ, ১৯৬০ থেকে ২০০২